অলিভ অয়েল তেলের ১৬ টি উপকারিতা কি কি জেনে নিন
  অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি এই নিয়ে যদি আপনার প্রশ্ন থাকে। তাহলে আপনি একদম
  ঠিক জায়গায় এসেছেন। অলিভ অয়েল মূলত জলপাই থেকে তৈরি একটি তেল। এই তেলের রয়েছে
  নানান গুনাগুন ও পুষ্টি উপাদান। যা দূর করতে পারে নানান সমস্যা।
  অলিভ অয়েল তেল খাবার হিসেবে, চিকিৎসা কাজে এবং সৌন্দর্য চর্চায় বিশ্বব্যাপী
  সমাদৃত। অলিভার শুধু খাবারের সাদ বৃদ্ধি নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে
  উপকারী। বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারের জন্য অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে
  থাকে চিকিৎসকরা।
  
    পেজ সূচিপত্রঃ অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি
  
- অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি
 - রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
 - তৈলাক্ত ত্বকে অলিভ অয়েলের ব্যবহার
 - চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা
 - চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
 - এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়
 - এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা
 - এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায়
 - অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম
 - লেখকের মন্তব্যঃ অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি
 
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি
  অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি এটি জানার আগে অলিভ অয়েল তেলের মধ্যে কি কি উপকারী
  উপাদান আছে সেটা জানা জরুরী।অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড,
  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই ও কে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
  মূলত এই কারণে ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকে অলিভ অয়েল খাবার। কেননা একটি বিভিন্ন
  জটিল রোগের ঝুঁকি কমায় এবং স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
  করে।যেহেতু আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন খাবার রান্নার সময় তেল ব্যবহার করে থাকি
  বলতে গেলে তেল ছাড়া আমাদের জীবন যেন অচল সেক্ষেত্রে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে
  পারি আমরা রান্নার ক্ষেত্রে এতে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্ষতিকারক ফ্যাট ও
  কোলেস্টেরলের মত সমস্যা দূর হবে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ অলিভ অয়েলের বিদ্যমান উপাদান আমাদের শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্ট্রল এর মাত্রা কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা আপনার শরীরের স্টক ও হার্ট অ্যাটাক এর মত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। একই সাথে হৃদপিন্ড সচল এবং ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 - মস্তিষ্ক ভালো রাখেঃ অলিভ অয়েলে বর্তমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান মস্তিষ্ক সচল রাখতে ও ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর সাথে মস্তিষ্কের আলজেইমার ও ডিমেনশিয়ার মত ঝুঁকিপূর্ণ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
 - ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ অলিভ অয়েল ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং এটি হজম প্রক্রিয়াকে ভালো রাখতে ও সাহায্য করে যার কারণে এটি আমাদের ওজন কমাতে খুবই কার্যকর।
 - ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ অলিভ অয়েলের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস টাইম ২ এর নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী।
 - হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং হজমের সহায়তা করে অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল অঞ্চলের সুস্থতা বজায় রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
 - প্রদাহ কমাতে সাহায্য করেঃ বাতের ব্যথা বা অন্যান্য কারণে সরে প্রদাহ যত সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে অলিভ অয়েলে বিদ্যমান অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ যৌন সমস্যা দূর করে। এবং সাময়িক আরাম পেতে সাহায্য করে।
 - রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল আমাদের শরীরের রক্তচাপ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
 - ত্বকে শুষ্কতা রোধ করেঃ শুষ্ক আবহাওয়া বা শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং ত্বক ফেটে যাওয়া এবং রুক্ষতা ভাব চলে আসে। এই সময় ত্বক তার নিজের মসৃণতা এবং নমনীয়তা হারিয়ে ফেলে। এমন সময় আপনি ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত এতে আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে, টক ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা হবে না এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
 - ত্বকে ব্রণ দূর করেঃ ব্রণে তেল ব্যবহার করা ঠিক হবে কিনা এরকম বিধায় অনেকেই থাকে। তবে আপনি অনায়াসে আপনার ব্রণে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন এতে তৈলাক্ত ভাব কম হবে এবং ব্রণ দূর হবে । সঠিকভাবে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে অলিভ অয়েল এতে আপনি ভাল ফলাফল পেতে পারবেন।
 - ত্বক মসৃণ করেঃ অলিভ অয়েল এ বিদ্যমান ভিটামিন ই ও এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নরম ও মসৃণনতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
 - ত্বকের বার্ধক্য দূর করেঃ অলিভ অয়েল এর বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বয়সের ছাপ বলিরেখা দূর করে এবং ত্বকে উজ্জ্বল ও তরুণ করতে সাহায্য করে।
 - ত্বকের দাগ দূর করেঃ অলিভ অয়েল সঠিকভাবে এবং নিয়ম মেনে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গার দাগ এবং চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে খুবই কার্যকরী।
 - নখের ভঙ্গুরতা দূর করেঃ অনেক সময় নখ বড় করতে চাইলে অনেক সাবধান থাকার পরেও নখ ভেঙ্গে যায় এবং ভঙ্গুরতা দেখা দেয়। লোকের ভঙ্গুরত দূর করতে অলিভ অয়েলের ব্যবহার করতে পারেন। নখ ৫ থেকে ১০ মিনিট অলিভ অয়েল এর মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে নখ হবে সাইনি উজ্জ্বল এবং নখগুলোর ভঙ্গুরতা দূর হয়ে নখগুলো হবে আরো শক্ত।
 - পা ফাটা দূর করেঃ শীত বা শুষ্ক মৌসুমে অনেকেরই পা ফাটার সমস্যা রয়েছে এমন হওয়ার কারণ হচ্ছে পা অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়া এছাড়াও অতিরিক্ত হাঁটা চলার কারণে ও পা ফাটার মত সমস্যা তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন আপনার পায়ে। অলিভ অয়েল আপনার পায়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লাগে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে পড়ুন এবং এটি নিয়মিত করতে থাকলে আপনার পা ফাটা দূর হয়ে যাবে এবং পা হবেন নরম তুলতুলে।
 - ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করেঃ বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে আমাদের ঠোঁট কোমলতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে। ফলে দেখা যায় ঠোঁট ফাটার মত সমস্যা এবং ঠোঁট কালো কুচকে যাওয়ার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি ঠোঁটে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে ঠোটে লাগিয়ে রেখে দিতে পারেন। এতে আপনি চাইলে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ব্যবহার করতে পারেন এর ফলে ঠোঁটের আদ্রতা ফিরে আসবে এবং রুক্ষতা শুষ্কতা দূর হবে ঠোঁট ফাটা কমে যাবে।
 - মেকআপ তুলতে সাহায্য করেঃ সাজুগুজু করতে কেই না ভালোবাসে তবে এই সাজুগুজু করার পর আপনার ত্বককে পরিষ্কার রাখার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেকআপ করার পর যদি মেকআপ ঠিক ভাবে পরিষ্কার না করা হয় তবে ত্বকে বের হতে পারে ব্রোণ এবং অন্যান্য এলার্জির মত গুরুতর সমস্যা। সে ক্ষেত্রে আপনি ত্বকে মেকআপ তুলতে রিমুভ করতে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল খুবই ভালো কাজ করে মেকআপ রিমুভ করার ক্ষেত্রে।
 
রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
  
    ত্বক ভালো রাখতে কে না চায় ত্বক ভালো রাখতে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত আপনার
    ত্বকের যত্ন নিতে হবে। তৈরি করতে হবে প্রতিদিনের একটা স্কিন কেয়ার রুটিন। ত্বক
    ভালো রাখতে রাতের স্কিনকে রুটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে
    ত্বকের প্রয়োজন হয় বিশেষ যত্নের সে ক্ষেত্রে আপনার মুখে রাতে অলিভ অয়েল
    ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েল তত্ত্বকে ভালো রাখতে বিশেষ  গুণসম্পন্ন
    এবং কার্যকরী। ত্বকের দাগ দূর করা থেকে ব্রণ দূর করা এমনকি ত্বকের বিভিন্ন
    সমস্যা দূর করতে সক্ষম অলিভ অয়েল। এ সকল সমস্যাগুলো দূর করতে অলিভ অয়েল
    কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং রাতে অলিভ অয়েল ব্যবহারে নিয়ম গুলো কি কি চলুন জেনে
    নিন।
  
  
  - অলিভ অয়েল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার মুখ পরিষ্কার করতে হবে ভালোভাবে। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না হলে ত্বকের লোমকূপ গলনের ভেতরে অলিভ অয়েলের পুষ্টিগুণ গুলো পৌঁছতে পারবেনা সেজন্য পরিষ্কার ত্বক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 - অলিভ অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি মুখে ঠান্ডা তেল ব্যবহার না করে আপনার হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল তেল নিয়ে হালকা ঘোষে নিয়ে হালকা করে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেশি গরম করা যাবে না এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
 - আপনি চাইলে অলিভ অয়েল সামান্য পরিমাণে আপনার মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। আপনার হাতের সাহায্যে কপাল নাক কান গলা চিবুক ভালোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন এতে আপনার ত্বকের ভেতরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
 - এছাড়াও আপনি আপনার ত্বকে অলিভ অয়েল লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে পারেন এটা আপনার শুষ্ক ত্বক খুব সহজে নরম এবং মসৃণ হয়ে যাবে। তবে ব্রণ প্রবণ ত্বকের এই তেল ১৫ থেকে ২০ মিনিট এর বেশি রাখা উচিত নয়। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে বা ব্রণ বেড়ে যেতে পারে।
 - যদি ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয় তবে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল তেলকে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের নরম তুলতুলে করতে সাহায্য করবে এবং শুষ্কতা দূর করবে।
 
      
        তৈলাক্ত ত্বকে অলিভ অয়েলের ব্যবহার
      
    
    
      তৈলাক্ত ত্বকে তেলের পরিমাণ সব সময় বেশি হয়ে থাকে যে কারণে ব্রণ বা
      অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কোন উপাদান
      ব্যবহার করবেন এটা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তৈলাক্ত ত্বকের প্রয়োজন এমন
      একটি উপাদান ব্যবহার করা যা সিবামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ত্বককে
      হাইড্রেট রাখবে। তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করতে গেলে অনেক সময় স্বাভাবিক তেল
      ধুয়ে চলে যায় এতে ত্বক রুক্ষ যেতে পারে তবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে টক
      পরিষ্কার করতে লাগলে এটি প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে এতে ত্বক হওয়ার
      সমস্যা থাকে না। অলিভ অয়েল এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রী
      রেডিক্যাল এর মত সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে বাধা প্রদান
      করে যার কারণে ব্রণের সমস্যা অনেকটা কমে আসে। 
    
    
      আরো পড়ুনঃ লাল জবা ফুলের উপকারিতা ও ব্যবহার জানুন  
    
    
      তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে
      হয়। কেননা ময়েশ্চারাইজার অনেক সময় তেল বাড়িয়ে দেয় তৈলাক্ত ত্বকে সে
      ক্ষেত্রে হালকা পরিমাণে অলিভ অয়েল তেল মুখে ব্যবহার করলে এটি ত্বককে তৈলাক্ত
      ভাব দূর করে এবং ময়েশ্চারাইজার এর কাজ করে। অলিভ অয়েলের বিদ্যমান আন্টি
      ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রণের লালচে ভাব এবং এর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তবে
      খেয়াল রাখতে হবে সব ধরনের অলিভ অয়েল ব্রণ ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয় সে
      ক্ষেত্রে অবশ্যই অলিভ অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আসল অলিভ অয়েল বিশুদ্ধ অলিভ
      অয়েল ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের ব্ল্যাকহেডস এবং ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে অলিভ
      অয়েলের সাথে চিনি  বা ওটমিল আমি সে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি
      অলিভ অয়েল ফেস মাস্ক, ময়েশ্চারাইজার, ক্লিনজার, এক্সফোলিয়েটর হিসেবে
      ব্যবহার করতে পারেন।
    
    
      
        চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা
      
    
    
      অলিভ অয়েল একটি প্রাকৃতিক উপায় তৈরি তেল। এটিকে জলপাইয়ের তেলও বলা হয়। এই
      অলিভ অয়েল তেলের রয়েছে চুলে ব্যবহারের নানা উপকারিতা। চুলের যত্ন করবেন
      কিভাবে এই নিয়ে যদি চিন্তায় থাকেন আপনি তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন।
      চুলের অযত্নে দেখা দেয় চুলের নানা সমস্যা চুল পড়ে যাওয়া, চুল উঠে যাওয়া
      ,চুলের আগা ফেটে যাওয়া , চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া। এ সমস্ত সমস্যার সমাধান করে
      দিতে পারে অলিভ অয়েলের তেল। অলিভ অয়েল এর তেল আপনার চুলের জীবন ফিরিয়ে
      দিতে পারে করতে আপনার চুলকে ঝলমলে ঘন কালো। অলিভ অয়েল তেল এর বিদ্যমান
      অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এবং প্রাকৃতিক ফ্যাটি এসিড চুলের স্বাস্থ্য বজায়
      রাখতে  সাহায্য করে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নিন আপনার চুলে অলিভ অয়েল
      ব্যবহারের ঠিক কি কি উপকারিতা পেতে পারে।
    
    - অলিভ অয়লে বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং এ চুলের গোড়ার কিউটিকল এর গভীরে প্রবেশ করে চুলকে মজবুত করে এবং স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রেখে যা চুলকে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
 - শুষ্ক স্কেলের কারণে মূলত খুশকির সমস্যা দেখা দেয় এটিকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনও বলা হয়ে থাকে। অলিভ অয়েলে থাকা এন্টিফাঙ্গল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুলের গোড়ার সংক্রমণ রোধ করে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে তার সাথে এটি স্ক্যাল্পে কে হাইড্রেডে রাখে।
 - অলিভ অয়েল চুলে ব্যবহারে চুল এর রুক্ষতা দূর হয় এবং চুল নরম ও মসৃণ সফট হয়ে যায় যার কারণে চুলের ভঙ্গুরতা ও রুক্ষতা দূর হয়ে যায়।
 - অলিভ অয়েল ব্যবহারে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এতে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন ই চুলের গঠন শক্তিশালী করে এবং এটি চুল পড়া কমাতে খুবই কার্যকরী।
 - অলিভ অয়েল চুলে ব্যবহার করলে এটি আপনার চুলের প্রাকৃতিক অন্বেষণ হিসেবে কাজ করে। কন্ডিশনের মতো আপনার চুলকে নরম এবং ঝলমলে কোমল রাখতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা ও কোঁকড়ানো ভাব দূর হয় এবং আদ্রতা বজায় থাকে।
 - চুলের আগা ফাটার মতো সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল। অলওয়েলে থাকা পুষ্টি উপাদান আপনার চুলের আগা-ফাটা দূর করবে এবং চুলের রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব দূর করে। চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে চুলের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
 - অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে এটি আপনার চুলের উপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে যা বাইরে ধুলাবালি ও দূষণ থেকে আপনার চুলকে রক্ষা করবে যার কারণে এটি আপনার চুলকে চকচকে ও উজ্জ্বল থাকে।
 - অলিভ অয়েল প্রজেক্ট পুষ্প উপাদান চুলের গোড়ার পৌছিয়ে চুলকে শক্ত ও মজবুত করে এবং চুল পড়ার নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
 
চুলে অলিভ অয়েল  ব্যবহারের নিয়ম
      
        চুলের যত্নে এই প্রাকৃতিক অলিভ অয়েল তেল বেশ জনপ্রিয়। অনেকে এই তেলের
        ব্যাপারে শুনেছেন কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না যেটি ব্যবহার ঠিক কিভাবে করা
        যায়। আপনি এই তেলের ব্যবহার খুব সহজেই করতে পারেন এবং এর পোষ্টটি উপাদান
        আপনার চুলকে করতে পারে সুন্দর। অলিভ অয়েল এর বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
        ভিটামিন ই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ও আরো পুষ্টিগুণের কারণে মূলত এটি এত বেশি
        জনপ্রিয়তা রয়েছে চুলের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য। চুলে ব্যবহার করে অলিভ
        অয়েলের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে সঠিক পদ্ধতি মেনে ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন।
        সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে ব্যবহার করলে তবে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারবেন
        অলিভ অয়েল আপনার চুলে ব্যবহার করে। চলুন তাহলে জেনে নিন ঠিক কিভাবে কোন
        নিয়ম মেনে ব্যবহার করবেন আপনার চুলে অলিভ অয়েল।
      
      - চুলের ধরনের ওপরে অনেকটা নির্ভর করে তেল ব্যবহার। যদি আপনার চুলের প্রকৃতিটা শুষ্ক বা রুখো হয়ে থাকে তবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ভালোভাবে মাসাজ করে ঘন্টাখানেক রেখে দিয়ে তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
 - যদি আপনার চুল তো ঐ লাগতো প্রকৃতির হয় তাহলে আপনার চুলে কম পরিমাণে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে হবে এবং এক ঘন্টার বেশি আপনার চুলের তেল রাখা যাবে না।
 - আপনার চুল যদি স্বাভাবিক প্রকৃতির মত হয়ে থাকে তবে আপনার চুলে আপনি সপ্তাহে দুইবার অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন এটা পেতে পারেন কাঙ্খিত ফলাফল।
 - অলিভ অয়েল আপনি হালকা গরম করে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি দুই থেকে তিন চামচ অলিভ অয়েল হালকা গরম করে আপনার মাথার স্ক্যাল্পে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট মাসাজ করার পর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং এটি চুলকে ভালো রাখতে খুবই ভালো কাজ করবে।
 - এছাড়া আপনি অলিভ অয়েল রাতে আপনার চুলে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে পারেন। ফলে এটি আপনার চুলের বেশিক্ষণ স্থায়ী হওয়ার কারণে বেশি ভালো পুষ্টি শোষণ করতে পারবে। তেল চুলে লাগানোর পর একটি তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে রাখবেন এবং সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
 - অলিভ অয়েল তেল আপনি চাইলে চুলের মাছ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডিম এবং অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে ৩০ মিনিটের মত আপনার চুলে লাগিয়ে রাখতে পারেন এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
 - অলিভ অয়েল ও মধু একসাথে মিশিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট আপনার চুলে লাগিয়ে রাখতে পারেন চুলের মাস্ক হিসেবে। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। এটি ব্যবহারে আপনার চুল সিল্কি হবে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ আপনার চুলে পৌঁছে চুলকে মজবুত ও ঘন কালো করতে সাহায্য করবে।
 - চুলের আগা ফাটা দূর করতে অলিভ অয়েল তেল খুবই ভালো কাজ করে সেক্ষেত্রে আপনি চুলের আগায় সরাসরি অলিভ অয়েল তেল ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলের আগাথা সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
 - খুশকি মূলত শুষ্কতার কারনে হয়ে থাকে। আপনার চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করলে এটি আপনার চুলের শুষ্কতা দূর করবে এবং এটি স্ক্যাল্পে পৌঁছে পুষ্টি যোগান দেবে আপনার চুলকে সেক্ষেত্রে খুসকি যেটি শুষ্কতার কারণে হয়ে থাকে সেটি দূর হয়ে যাবে অনায়াসে।
 - অলিভ অয়েল তেল রসুনের সঙ্গে মিশিয়ে আপনার চুলে ব্যবহার করলে এটি আপনার চুলের গোড়াকে মজবুত করবে এবং এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে।
 
          এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়
        
        
          এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অনেকে খাবারে ব্যবহারের কথা শুনেছেন কিন্তু
          এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল যে ত্বক এবং চুলের জন্য সমান উপকারী তা
          হয়তো অনেকেই জানেনা। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর ব্যবহার সুদূর
          প্রসারী। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং চুলকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে
          বাঁচিয়ে রাখতে এই তেলের জুরি মেলা ভার। চুলের নানান সমস্যা চুলের আগা
          ফাটা, চুল উঠে যাওয়া ,চুল ঝরে পড়া , চুল বৃদ্ধি না হওয়া এই সমস্ত
          সমস্যা দূর করতে  খুবই কার্যকরী উপাদান হচ্ছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ
          অয়েল। বিভিন্ন চুলের ট্রিটমেন্টের অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করা হয়ে
          থাকে। অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করলে আপনার চলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিগুণ
          পৌঁছায় যেটি আপনার চুলের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখে এবং চুলকে সুন্দর করতে
          সাহায্য করে। তাই আপনি আপনার চুলে এক্সটা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল
          অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।
        
        এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা
        
          স্বাস্থ্যসম্মত তেল গুলোর মধ্যে অন্যতম তেল হচ্ছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ
          অয়েল। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর। এ তেলের বিশেষ ব্যবহার
          দেখা যায় ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যাভাসে। তবে সচেতন ব্যাক্তিবর্গের মধ্যে এই
          তেলের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের
          রয়েছে মানুষ স্বাস্থ্য গুনাগুন। যে কারণে এটি এখন যুক্ত হচ্ছে বেশিরভাগ
          মানুষের খাদ্য তালিকায় এবং পরামর্শ দিয়ে থাকছেন ডাক্তাররা এক্সট্রা
          ভার্জিন অলিভ অয়েল নিজের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার জন্য। এক্সট্রা
          ভার্জিন অলিভ অয়েল মূলত কোলেস্ট্রল তৈরিতে বাধা দেয় যে কারণে হার্টের
          স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মত সমস্যা ঝুঁকি কমায়।
        
        
        
          এই তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে বিধায় এটি বার্ধক্য
          জনিত সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকরী এবং এটি সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য
          করে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এ বিদ্যমান উপাদান গুলো প্রদাহ জনিত
          সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে যেমন আর্থাইটিস বাদজনিত ব্যথা এ সমস্ত
          সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকরী। অলিভ অয়েল খেলে এটি ব্রেনের কোর্সগুলোকে
          সুরক্ষা এবং স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ
          অয়েল হজম ক্ষমতা ভালো রাখে এবং এটি পচনতন্ত্রের কাজ করতে সহায়তা করে
          এমনকি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়।
        
        
          এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খেলে এটি রক্তের সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
          করে যার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
          খাওয়ার ফলে এটি দেহে চর্বি জমতে বাধা দেয় যার কারণে শরীরে অতিরিক্ত ওজন
          তৈরি হতে পারে না। এক্সট্রা ভার্জিন অলিমায়লে থাকা উপাদান হাড়ের গঠন
          মজবুত করতে সাহায্য করে এবং এটি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। স্টার ভার্জিন
          অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোর্সগুলোকে রক্ষা করে এবং
          এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
        
        এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায়
        
          আপনি বুঝতে পারছেন না আপনার অলিভ অয়েল দিয়ে আসল নাকি নকল। বাজারে
          বিভিন্ন পণ্যের নকল তৈরি হয়ে থাকে। তেমনি অলিভ অয়েল ও এর ব্যতিক্রম
          নয়। আপনি যদি নকল অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন তবে এতে তো কোনো প্রকার মিলবে
          না বরং হতে পারে আপনার আরো ক্ষতি। সেই জন্য আপনার খুবই প্রয়োজন অলিভ
          অয়েল কোনটা আসল এবং কোনটি নকল এটি চেনা। কিভাবে চিনবেন সমস্ত পদ্ধতি
          গুলো হল।
        
        
        - এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের রং গারো সবুজ বা সোনালী হয়ে থাকে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাটি এবং প্রাকৃতিক হওয়ার কারণে এর মধ্যে সামান্য মাটি বা পলির উপস্থিতি থাকতে পারে।
 - এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর গন্ধ অনেকটা সতেজ ও ফলের মতো হয়ে থাকে। আপেল ঘাস বা টমেটোর মতো গন্ধ হয়। কিন্তু যদি এই তিল থেকে পচা গন্ধ বের হয় তবে এটি নকল তেল হতে পারে।
 - এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর স্বাদ সাধারণত তেতো ও ঝাঁঝালো হয়ে থাকে তবে নকল বা পরিশোধিত তেল এরশাদ নিরপেক্ষ বা মিষ্টি জাতীয় হতে পারে।
 - অলিভ অয়েলের আসল বোতল কাচের বা টিনের গাড়ো মোড়কে তৈরি হয়ে থাকে যেন আলো তাপের সংস্পর্শে তিল নষ্ট না হয়ে যায়। এর সাথে বোতলের গায়ে লেবেল লাগানো থাকে শব্দ লিখে এবং এর সাথে উৎপাদনের তারিখ, উৎস, দেশ এবং কোম্পানির লোগো দেয়া থাকে। যা দেখি আপনি বুঝতে পারবেন কোনটি ভালো কোয়ালিটির এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল।
 - খাঁটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল এ ফ্রি ফ্যাটি এসিড এর মাত্রা ০.৮% বা তার কম হয়। তবে এটির মাত্রা যদি বেশি হয়ে থাকে তবে এটি নিম্নমানের তেল হতে পারে।
 - একটি ছোট বোতলে অলিভ অয়েল তেল ঢেলে ফ্রিজে রাখতে পারেন যদি সেটির জমাট বেঁধে যায় তাহলে এটি আসল তেল হতে পারে। তবে এই পরীক্ষাতে একদম নির্ভরযোগ্য নয় কেননা অনেক সময় পরিচিত তো তেল ও জমাট বাঁধতে পারে।
 - এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল গরম করলে এতে দ্রুত ধুঁয়া তৈরি হয় না। কিন্তু কোন তেলে যদি খুব অল্প সময়ের মধ্যে ধোয়া তৈরি হয় তবে সেটি খাঁটি তেল নয়।
 - এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল তুলনামূলক দামি তেল। যে কারণে কোন ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান যদি অল্প দামে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বিক্রি করে থাকে তবে সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 - বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত মানের দেশগুলোতে অলিভ অয়েল তেল উৎপাদিত হয়ে থাকে ইতালির, স্পেন, গ্রিস ও তুরস্ক। তেল কেনার সময় উৎপাদকের নাম বা উৎপাদন স্থল দেখে আসল তেল কিনতে পারেন।
 
অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম
          
            অলিভ অয়েল তেলের রয়েছে বিশেষ উপকার ও স্বাস্থ্য গুনাগুন। এই সমস্ত
            গুনাগুনের কারনে অলিভ অয়েল তেলের ব্যবহার হয়ে থাকেন নানান ক্ষেত্রে।
            রান্নার ক্ষেত্রে থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ও চুলের যত্নে
            ব্যবহৃত হয়ে থাকে অলিভ অয়েল। এই সমস্ত জায়গায় অলিভ অয়েল ব্যবহারের
            নিয়ম ও ভিন্ন ভিন্ন। রান্নার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে
            এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলকে নিম্ন তাপমাত্রায় মিডিয়াম হিট কুকিং ও
            ডিপ ফ্রাইং এর ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম রয়েছে। অলিভ অয়েল রান্নার
            ক্ষেত্রে লো- হিট এবং মিডিয়াম হিটের রান্নার ব্যবহার করা যায় তবে ডিপ
            ফ্রাই এর জন্য অলিভ অয়েল ঠিক নয়। এছাড়া স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সকালে
            খালি পেটে অলিভ অয়েল এক চামচ খেলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 
          
          
          
            সালাত হিসেবে বা ফলের সাথে মিশিয়ে অলিভ অয়েল তেল খাওয়া যায় এতে
            স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের
            যত্নের ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার
            করা  যেতে পারে এবং অলিভ অয়েল তোকে ম্যাসাজ করলে এটি ত্বকের রক্ত
            সঞ্চালন এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল তেল চুলে লাগে
            ম্যাসাজ করলে বা কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে এটি চুল পড়া বন্ধ করে দেব
            কন্ডিশনিং এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি পুরো
            শরীরে লাগিয়ে মাসাজ করলে বা মালিশ করলে এটি ত্বককে ভালো রাখে বং
            হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ও র্যাশ দূর করতে সাহায্য
            করে। 
          
          
            লেখকের মন্তব্যঃ অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি
          
          
            অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি কি সম্পর্কে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ
            পড়ার পর আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন অলিভ অয়েল তেল আপনার স্বাস্থ্যের
            জন্য উপযোগী কি না। অলিভ অয়েল তেলের পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
            উপকারী। সেজন্য আপনি চাইলে এটি আপনার খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন।
            একই সাথে একটি চুলও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান তবে এটি ব্যবহারের
            ক্ষেত্রে অবশ্য সতর্ক থাকতে হবে যেমন তৈলাক্ত ত্বক এলার্জি সম্পূর্ণ
            ত্বক এই সমস্ত ত্বকে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে কোন
            সমস্যা দেখা দিচ্ছে কিনা। এছাড়া ত্বকের কোন জটিল সমস্যা থাকলে অবশ্য
            ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে। তবে অলিভ
            অয়েলের সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার পেতে অবশ্যই আসল অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার
            করতে হবে এবং ব্যবহারের নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে। তবে এটি ব্যবহারে
            শুধুমাত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং পরিমাপ মতো ব্যবহার
            করতে হবে।
          
          
            আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি কি রয়েছে
            সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত
            হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ
            করে দিন। এমন আরো প্রয়োজনীয় তথ্যমূলক পোস্ট এবং অজানা তথ্য জানতে
            আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
          
        


শুরু থেকে শেষ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url